মানুষ কি নিজেই স্বয়ংসম্পূর্ণ? নাকি অন্য মানুষের স্পর্শে সে পূর্ণ হয়ে ওঠে? কার জন্য অপেক্ষা করে সে? আর কে সরে গেলে তার মনে হয় এই বেঁচে থাকা অনর্থক! প্রেম, সেকি মানুষের শুশ্রূষা? নাকি সকল যন্ত্রণার কারণ? ‘চুয়ান্ন’ উপন্যাসে পুঁটি ও সাবুর জীবনের চুয়ান্ন দিনের গল্প বলা হয়েছে। এনা ছেড়ে চলে গিয়েছে পুঁটিকে। এনাকে ছাড়া বেঁচে থাকার প্রতিটা দিনের হিসেব রাখে পুঁটি। নিজেদের ব্যাবসার কাজে ডুবে থাকতে চায়। কিন্তু সেটাও ভাল করে পারে না। ক্রমে ওর মনে হয় এ জীবন অনর্থক এক যাপন মাত্র! অন্যদিকে সাবুর পছন্দ পুঁটিকে। কিন্তু সে কথা ও জানাতে পারে না। পুঁটির জীবনও জটিল হতে থাকে। ক্রমশ প্রেম আর প্রেমের বাইরের বৃহত্তর এক পৃথিবী যেন স্পষ্ট হয়ে ওঠে ওর কাছে। ভালবাসার মানুষকে ছাড়া এই বেঁচে থাকা যেন এক নতুন শিক্ষা হয়ে নেমে আসে ওর জীবনে। সাবুও নিজের মতো করে খুঁজতে থাকে স্বস্তি, ভালবাসা। আর পুঁটির পাশে থেকে যেতে চায় সেই অব্যক্ত ভালবাসা নিয়েই। আর তারপর ঠিক চুয়ান্ন দিনের মাথায় পুঁটি ফোন পায় একটা! কে করেছে সেই ফোন? কী চায় সে? পুঁটিই-বা কী করবে? আর সাবু? সাবুরই বা কী হবে এবার? ‘চুয়ান্ন’ আসলে মানুষের চিরকালীন এক ভালবাসার গল্প। জীবনের কাছে তার ফিরে আসার গল্প।
Customer Support - Call / WhatsApp 9830324773, 6289577605 Email - [email protected]