সহায়সম্বলহীন কালীচরণের ছোট মেয়ে ইতিরানির সঙ্গে বিয়ে হয় সনাতনের ছেলে গোপালচন্দ্র পালের। ইতিরানির শ্বশুর সনাতনের বিপুল সম্পত্তি। কিন্তু তাঁর ছোট ছেলেটি আর পাঁচজনের মতো স্বাভাবিক নয়। সনাতন চায়, নাড়ুগোপালকে মানুষের মতো মানুষ করুক ইতিরানি। ওদিকে গোপালচন্দ্র সারাদিন ঘুমোয়। সনাতন ঠিক করে তিন ছেলেকে তিন বাড়িতে থাকতে দেবে। সেই অনুযায়ী ইতিরানি আর নাড়ুগোপাল, চলে এল আলাদা বাড়িতে। কিছুদিন পর নাতনি অনন্যাকে দেখে, ইতিরানিদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায় সনাতন। ব্যক্তিত্বময়ী ইতিরানি রাজি হয় না। নৌকাডুবিতে আকস্মিক মৃত্যু হয় সনাতনের। দেখা যায় নিজের সম্পত্তির নব্বইভাগ বড় দুই পুত্রকে দিয়ে গেছেন তিনি। বিয়ের কিছুদিন পর ইতিরানিরা যে বাড়িতে এসে উঠেছিল, সেই বাড়ি আর জমিটুকুই শুধু তাদের ভাগে পড়েছে। নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে ইতিরানি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হয়, গ্রামের ভালমন্দের নেতৃত্ব দেয়। অনন্যা ভাল রেজাল্ট করে কলেজে ভর্তি হয়। অন্যদিকে এই কাহিনির সঙ্গে জড়িয়ে যায় কানাই, প্রভাবতী, জনার্দনমামা। একদিন নাড়ুগোপাল ছাগলকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে গিয়ে, তা লাগে ইতিরানির মাথায়। মৃত্যু হয় ইতিরানির। কী পেল সে এই সংসার থেকে! হেরে গেল ইতিরানি পাল? এক হার না মানা নারীর কাহিনি, এক অন্যতর মূল্যবোধের উপন্যাস ‘একাকিনী’।
Customer Support - Call / WhatsApp 9830324773, 8777074851 Email - [email protected]